সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আমির হোসেন বোয়িং মোল্লা মারা গেছেন। বুধবার সকাল পৌনে ৭ টার দিকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বোয়িং মোল্লার বড়ভাইয়ের ছেলে সালাউদ্দিন মোল্লা বুলবুল বলেন, মঙ্গলবার ভোর রাতে অবস্থা অবনতি হলে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউ থেকে লাইফ সাপোর্টে নেন। বুধবার সকালে সেখান থেকে তার মৃত্যুর সংবাদ ভোর পৌনে ৭ টার দিকে জানান। এরপর পুলিশের কাছে সংবাদ দিলে তারা চাচার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা দেরি করে আসায় ১০ টা পর্যন্ত তার ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ মুনিরুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, মৃত্যুর সংবাদ জেনে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার সুরতহাল রিপোর্ট চলছে। তার মাথায় এবং ঘাড়ে দু’টি গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মাথার আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। মঙ্গলবার রাতে তার ছোটভাই মো: আব্দুল্লাহ খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন।
উল্লেখ্য, গেল শুক্রবার রাতে টুটপাড়া তালতলা হাসপাতালের সামনে হামজা কেরাম টুর্নামেন্ট দেখতে যান। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে বাসায় ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি বর্ষণ করে। গুলির হাত থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় এবং ঘাড়ে আঘাত করতে থাকে। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার কথা চিকিৎসকরা জানান। সেখান থেকে পুনরায় তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘ ৪ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
খুলনা গেজেট/এনএম